আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি ।।।।
আমি কি ভুলিতে পারি।।।।
আজকের এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরণ করছি সকল ভাষা শহীদ এবং সৈনিকদের এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি । সম্মানিত পাঠক মহলের কাছে আজকে একজন ভাষা সৈনিকের সামান্য স্মৃতিচারণ করব।
ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আজম
ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম, যাকে অস্বীকার করা হলে সমস্ত ভাষা সৈনিকদেরকে অস্বীকার করা হবে।
গোলাম আযমের জন্ম ১৯২২ সালের ৭ই নভেম্বর ঢাকার পুরনো অংশে লক্ষ্মীবাজার এলাকায় নানার বাড়িতে। তার দাদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও গ্রামে। মাওলানা গোলাম আজমের শিক্ষাজীবনের বড় অংশ কেটেছে ঢাকায়।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স শেষ করছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি '৪৭-'৪৮ এবং '৪৮-'৪৯
পরপর দুই বছর ডাকসু'র জিএস এর দায়িত্বে ছিলেন। (খেয়াল করে দেখুন,কুচক্রীরা '৪৮-'৪৯ এর নামটি মুছে ফেলেছে!!)
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু’র জিএস ছিলেন ১৯৪৯ সালে। তখন ডাকসু’র ভিপি ছিলেন অরবিন্দ বোস। সে সময় ছাত্রদের পক্ষ থেকে ঢাকা সফররত পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে বাংলা ভাষার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
সে সময়ে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় বামপন্থী রাজনীতিক বদরউদ্দিন উমর পরে এ নিয়ে বলেন। তিনি বলেছেন, “হিন্দু কোনো ছাত্রকে দিয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছের স্মারকলিপি পেশ করা হলে তার ভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে। সে কারণে তখন ডাকসুর ভিপি অরবিন্দ বোসকে বাদ দিয়ে জিএস গোলাম আযমকে দিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছিল।”
জেনারেল এরশাদের সময় দেশে রাজনৈতিক দৈন্য-দশা দেখা দিলে নির্বাচনকালিন নির্দলীয় তত্ববধায়ক সরকারের রুপরেখা দিয়েছিলেন এই গোলাম আজম। রাজনীতির বাইরে শতাধিক বইও লিখেছেন গোলাম আযম।
অথচ এই আমরাই কোন কালে মূল্যায়ন করাতে পারিনি এই মহা মানবকে।
উৎস: গোলাম আজমের জীবনী এবং উইকিপিডীয়া।
রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
আমাদের ভাষা এবং একজন গোলাম আজম
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন